রমজানে করোনা রোগীদের খাবার ও স্বাস্থ্যবিধি

করোনা আক্রান্ত রোগীদের রোজা রাখার উপায় থাকে না। যারা যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তারা তো রোজা রাখতে পারবেন না। তাদের শ্বাসকষ্ট, ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু করে নানা সমস্যার জন্য মেডিসিন নিতে হয়, তাই ইচ্ছা থাকলেও সেটা সম্ভব নয়। 


করোনা আক্রান্ত যারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন  (শতকরা ৮০ শতাংশ), যাদের মৃদু সংক্রমণ হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা সুস্থতা অনুভব করেন তারা রোজা রাখতে পারবেন। তবে যদি এক্ষেত্রে রোগীদের ডায়াবেটিস থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

করোনায় সেরে ওঠা কিংবা টেস্টে পজিটিভ হবার পরও কোনও উপসর্গ দেখা না দিলে তারা ইফতারের সময় থেকে সাহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি জাতীয় খাবার খাবেন। বিশেষ করে ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে তিন লিটার পানি খেতে হবে।

ইফতারে ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার:

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়। ভিটামিন সি, এ , ডি  ও সেলেনিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ইফতারে এসব খাবার রাখা জরুরি। 

ইফতারে নরম, সহজে হজমযোগ্য, পুষ্টিকর খাবার ইফতার মেন্যুতে রাখতে হবে। যেমন: এক গ্লাস শরবত, দু’টি খেজুর, ডাল-চাল ও সবজির তৈরি খিচুড়ি এবং ফলের সালাদ। এটি একটি হেলদি (স্বাস্থ্যকর) ইফতার মেন্যু। 

সাহরি:

সঠিক পরিমাণের সেহরি আপনাকে এনার্জিটিকভাবে রোজা পালনে সাহায্য করবে। সাধারণ সময়ে দুপুরের খাবার আসলে সেহেরিতে খেলে ভালো।

যেমন: ভাত, সুসিদ্ধ সবজি ও মাছ সবচেয়ে উত্তম খাবার। তবে যারা মাছ খেতে পারেন না তারা মুরগির মাংস বা ডিম খেতে পারবেন।  চাইলে দুধ ভাত আর কলা বা খেজুর খেতে পারেন।

Comments